ঝিনাইদহের শৈলকুপার পাইকারী বাজার গুলোতে কমতে শুরু করেছে তরমুজের দাম ।বড় ,মাঝারি ও ছোট এই তিন স্থরে ভাগ করে পিচ প্রতি বিক্রয় করা হচ্ছে তরমুজ । ১০/১২ কেজি ওজনের তরমুজ গুলো বিক্রি হচ্ছে ১০০ পিচ ২৭থেকে ২৮ হাজার টাকা । যা পিচ প্রতি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা পড়ে। এই তরমুজ গুলো খুচরা বাজারে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে । অন্যদিকে ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের মাঝারি সাইজের তরমুজ গুলো ১০০ পিচ বিক্রি হচ্ছে ১৭থেকে ১৮ হাজার টাকা ।যা পিচ প্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে । সব চেয়ে ছোট সাইজের তরমুজ গুলো গড়ে ৫০ টাকা পিচ বিক্রি করা হচ্ছে ।
তবে পাইকারি হাত বদল হওয়ার পরই খুচরা বাজারে গলাকাটা দাম নিচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীরা । বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা হলে সাধারণ মানুষের নাগালে থাকত তরমুজের দাম ।
বরিশাল ও পটুয়াখালির মহাজনরা শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাস স্টাণ্ডে তরমুজ গুলো ট্রাকে করে এনে আড়তদারদের নিকট বিক্রিকরছেন তিন ভাগে ভাগ করে।
বরিশালের তরমুজ ব্যাবসায়ী জুলহাস মুন্সি আমাদের বলেন , পিচ হিসাবে তরমুজ ক্ষেত থেকে ক্রয় করে ট্রাকে করে গাড়াগঞ্জ বাসস্টান্ডে বাবলূর আড়তে বিক্রি করা হয় । প্রতি পিচ তরমুজে গাড়ি ভাড়া পড়ে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা । অন্য যেকোন বছরের থেকে তরমুজের দাম বেশি ।এর প্রধান কারণ তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো আসেনি । মৌসুম আসলে দাম আরো কমে যাবে ।
আড়তদার বাবুল বলেন , বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা ৩০০ টাকা কেনা তরমুজ ৪০০/৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে । বাজারে তরমুজ কেনা বেচা একদম কম । খুচরা ব্যবসায়ীরা যদি একটু কম লাভে বিক্রি করেন তবে বেচা কেনা বেড়ে যাবে