ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বাকুলিয়া গ্রামে সাদা পোশাকে কিশোরী উদ্ধারে গিয়ে সাধারন মানুষের উপর পুলিশের হামলা এবং অন্যায় ভাবে নিরীহ মানুষের নামে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের খয়েরতলা এলাকায় বাকুলিয়া ও খয়েরতলা গ্রামবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেসময় গ্রাম দুটির শতাধীক নারী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোমবার বিকালে যশোর কোতয়ালী থানা থেকে এএসআই তাপস কুমার পাল, কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন পুলের হাট এলাকার এক কিশোরীকে উদ্ধারে সাদা পোশাকে (সিভিল পোশাক) বাকুলিয়া গ্রামে যায়। সেসময় তারা প্রথমে সুজনের ঘরে ঢুকে তাকে চড়থাপ্পড় মেরে মেয়েটিকে হাত ধরে টেনে বের করে নিয়ে আসে। সেসময় অন্যরা প্রতিবাদ করলে কয়েকজনকে তারা থাপ্পড় মারে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হলে তারা হাতাহাতিতে জড়ায়। সেসময় স্থানীয় এক গৃহবধূ ও তিন পুলিশ সদস্য সহ আরো কয়েকজন আহত হয়। কিন্তু পুলিশ সাদা পোশাকে পরিচয় না দিয়ে কেন একটা মেয়েকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাবে। তারা কেন পুলিশ পরিচয় দেয়নি, কেন পুলিশের পোশাক বাদে এসেছে। এটা তো অন্যায়। তারা অন্যায় করলো অথচ গতকাল পুলিশ সদস্য শওকত বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৭০ জনকে আসামী করে মামলা দিয়েছে আমাদের নামে বিনা অপরাধে। গ্রামের নীরিহ ৪ কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। নিরিহ মানুষকে ধরে নিয়ে নিয়ে হয়রানী করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং অন্যায়কারী এই তিন পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবি করছি কেন তারা সাধারন পোশাকে এসে মারপিট করলো।