নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ গনেশ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (পিওন) মাসুম মিয়া তিন মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও বেতন ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ।
স্থানীয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১৩ সালে গনেশ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পিওন হিসেবে যোগদান করেন মাসুম মিয়া। তিনি যোগদান করার পর থেকে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে অনুপস্থিত ও সেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। তবে গত তিন মাসে একদিনও স্কুলে উপস্থিত না থেকেও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তুলেছেন বেতন- ভাতা। টানা তিনমাসে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকার কারনে সাক্ষর করেনি হাজিরা খাতায়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মাসুম মিয়া গত তিন মাস ধরে স্কুলে আসেন না। তিনি স্কুলে আসলে আমরা তাকে অবশ্যই দেখতাম তবে তিন মাস ধরে স্কুলে দেখিনি। তবে শুনেছি স্কুলে উপস্থিত না থেকেও তিনি এখনো চাকরিতে বহাল আছেন ।
অভিযুক্ত মামুম মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি গত তিন মাস ধরে স্কুলে ব্যাক্তিগত সমস্যার কারনে যেতে পারিনি তবে আমি এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আশেক আলী বলেন, সে গত তিনমাস নয় সে কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসেনি। তবে সে হাজিরা খাতায় কেন সাক্ষর করেনি সেটা আমি জানিনা তাকে কয়েকবার বলার পরও সে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করেনা। আমি তার বেতন বন্ধের জন্য শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. মোসা. মাহমুদা খাতুন বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে জেনেছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



