ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ড পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দিকনগর গ্রামে মানোয়ার সর্দারের বাড়িতে পাখিভ্যান চাপা পরে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে এক শিশুর। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রিফাত (৪) শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের লাল্টু মন্ডলের ছেলে।
এ ব্যাপারে নানা মানোয়ার সর্দার জানান, আমি পেশায় একজন পাখি ভ্যান চালক । প্রতিদিনের মত আজও ভ্যান চালাতে রাস্তায় যায়। এরপর বাড়িতে চাউল না থাকায় দুপুর ২টার সময় বাজার থেকে বস্তা ধরা চাউল কিনে বাড়িতে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পর আমার ভ্যান ক্যানেলের ঢালু জায়গায় চাকার নিচে ইট দিয়ে ভ্যানের উপর থেকে চাউল মাথায় করে বাড়ির ভিতরে যায়। ঠিক সেই সময় আমার বাড়িতে বেড়াতে আসা আমার দ্বিতীয় কন্যা আরিফা খাতুনের ছেলে ( নাতি) রিফাদ (৪) আমার ভ্যানের কাছে গিয়ে ভ্যানের চাকার নিচের ইট সরিয়ে দিলে ভ্যান পেছনে গড়াতে থাকে। কিন্তু রিফাদ পেছন থেকে সরতে পারেনা । আর পেছনে থাকা আম গাছের সাথে চাপা লাগে রিফাদের । এ সময় একবার রিফাদের চিৎকার শুনতে পায়। চিৎকার শুনেই আমি ও আমার বাড়ির ভিতরে থাকা আমার স্ত্রী, মেয়েসহ সকলেই দ্রুত বাড়ির বাইরে এসে দেখি রিফাদকে ভ্যানে চেপে ধরে রেখেছে পেছনে থাকা আম গাছের সাথে। আমরা রিফাদকে দ্রুত ভ্যান সরিয়ে বের করি। তিনি আরো জানান, ততক্ষনে রিফাদের নাকমুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে ও বেহুঁশ হয়ে যায়। আমরা রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত হরিণাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফাদকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ঘটনার কথা জানতে পেরে দ্রুত ঐ ঘটনা স্থলে যায় এবং শিশু রিফাদ তার নানার পাখি ভ্যানে চাপা লেগে প্রাণ হারিয়েছে প্রাথমিক ভাবে জানতে পারি।
এদিকে রিফাতের দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর কারণে রিফাতের বাবার বাড়ি ও নানা বাড়ির আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বইছে শোকের মাতম।